কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
- Computer Technology
- History of Computer
- Computer Generation
- Types of Computer
- Input Devices
- Output Devices
- Computer memory
- CPU & Microprocessor
- Computer Bus
- Software
- Operating System
- Database
- Number system
- Logic Gates
- Boolean Algebra
- Data & Information
- Protocols
- Medium
- Network Topology
- Wifi WiMax, Bluetooth
- URL
- Cloud Computing
ক্লাউড কম্পিউটিং
- ক্লাউড কম্পিউটিং হলো ইন্টারনেটভিত্তিক এক ধরনের পরিষেবা, যেখানে ব্যবহারকারীগণ নিজেদের কম্পিউটার বা ডিভাইসে কোনো ডেটা বা সফটওয়্যার সংরক্ষণ বা পরিচালনা না করে ইন্টারনেটে সংযুক্ত দূরবর্তী সার্ভার ব্যবহার করে তথ্য ও অ্যাপ্লিকেশন অ্যাক্সেস করতে পারেন।
- অর্থাৎ, ক্লাউড কম্পিউটিং মানে হলো আপনার কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভ বা সিপিইউ ব্যবহার না করে বরং ইন্টারনেটের মাধ্যমে অন্য কোথাও থাকা কম্পিউটার বা সার্ভার ব্যবহার করে কাজ করা। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা প্রয়োজন অনুযায়ী ডেটা স্টোরেজ, ডেটাবেস, সার্ভার, নেটওয়ার্কিং এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার পরিষেবা গ্রহণ করতে পারে।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর প্রধান বৈশিষ্ট্যসমূহ
- অন-ডিমান্ড সেলফ-সার্ভিস (On-Demand Self-Service): ব্যবহারকারীরা যখন প্রয়োজন তখন নিজেরাই কম্পিউটিং সংস্থান (যেমন: সার্ভার, স্টোরেজ) পেতে ও ব্যবহার করতে পারে।
- ব্যাপক নেটওয়ার্ক অ্যাক্সেস (Broad Network Access): এই পরিষেবাগুলো ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে যে কোনো স্থান থেকে, যে কোনো সময় এবং যে কোনো ডিভাইস (যেমন: ল্যাপটপ, মোবাইল) থেকে অ্যাক্সেস করা যায়।
- সম্পদের একত্রীকরণ (Resource Pooling): ক্লাউড পরিষেবা প্রদানকারীরা একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য তাদের কম্পিউটিং সম্পদ একত্রিত করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বন্টন করে।
- সম্পদের একত্রীকরণ (Resource Pooling): ক্লাউড পরিষেবা প্রদানকারীরা একাধিক ব্যবহারকারীর জন্য তাদের কম্পিউটিং সম্পদ একত্রিত করে রাখে এবং প্রয়োজন অনুযায়ী বন্টন করে।
- দ্রুত স্থিতিস্থাপকতা (Rapid Elasticity): ব্যবহারকারী খুব দ্রুত এবং সহজে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সংস্থান বাড়াতে বা কমাতে পারে।
- পরিমাপযোগ্য পরিষেবা (Measured Service): ক্লাউড পরিষেবাগুলো ব্যবহারের পরিমাণের উপর ভিত্তি করে মূল্য নির্ধারণ করা হয়, অর্থাৎ ব্যবহারকারী যতটুকু ব্যবহার করবে ঠিক ততটুকুর জন্যেই অর্থ প্রদান করবে।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর পরিষেবা মডেলসমূহ
- ক্লাউড কম্পিউটিং-এর তিনটি প্রধান পরিষেবা মডেল রয়েছে:
- 1. Software as a Service (SaaS): এই মডেলে ক্লাউড সরবরাহকারী অ্যাপ্লিকেশনটি পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে। ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি এটি ব্যবহার করতে পারেন। উদাহরণ: Google Docs, Microsoft 365।
- 2.Platform as a Service (PaaS): এই মডেলে অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপ, রান, এবং পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার সরবরাহ করা হয়। ব্যবহারকারীরা শুধু নিজেদের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি এবং ডেপ্লয় করার দিকে মনোযোগ দিতে পারে। উদাহরণ: Google App Engine, Microsoft Azure App Service।
- 3.Infrastructure as a Service (IaaS): এই মডেলে ক্লাউড সরবরাহকারী ভার্চুয়াল মেশিন, স্টোরেজ এবং নেটওয়ার্কের মতো মৌলিক কম্পিউটিং অবকাঠামো প্রদান করে। ব্যবহারকারীরা এই পরিকাঠামো ব্যবহার করে নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করতে পারে। উদাহরণ: Amazon Web Services (AWS), Google Cloud Platform (GCP)।
ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সুবিধা
- খরচ হ্রাস: নিজস্ব সার্ভার কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমে যায়।
- সহজ প্রবেশাধিকার: যে কোনো জায়গা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ডেটা এবং অ্যাপ্লিকেশনে প্রবেশ করা যায়।
- উচ্চতর নিরাপত্তা ও নির্ভরযোগ্যতা: ক্লাউড সরবরাহকারীরা ডেটা সুরক্ষায় উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং ডেটা ক্ষতির ঝুঁকি কমায়।
- নমনীয়তা ও স্কেলেবিলিটি: প্রয়োজন অনুযায়ী খুব সহজে পরিষেবা বৃদ্ধি বা কমানো যায়।
ক্লাউড কম্পিউটিং কীভাবে কাজ করে?
- ক্লাউড কম্পিউটিং-এর কার্যপ্রক্রিয়াকে কয়েকটি ধাপে ব্যাখ্যা করা যায়:
- ১. ভার্চুয়ালাইজেশন (Virtualization): এটি ক্লাউড কম্পিউটিং-এর মূল ভিত্তি। ক্লাউড সরবরাহকারীরা (যেমন AWS, Google Cloud, Azure) তাদের বিশাল ডেটা সেন্টারে শক্তিশালী ফিজিক্যাল সার্ভার ব্যবহার করে। ভার্চুয়ালাইজেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে একটি মাত্র ফিজিক্যাল সার্ভারকে একাধিক ভার্চুয়াল সার্ভারে (Virtual Machine) ভাগ করা হয়। প্রতিটি ভার্চুয়াল সার্ভার আলাদা আলাদা অপারেটিং সিস্টেম এবং অ্যাপ্লিকেশন চালাতে পারে, যা একে অপরের থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন থাকে। এর ফলে, একটি সার্ভার থেকে শত শত ব্যবহারকারীকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়, যা সম্পদ ব্যবহারের দক্ষতা অনেক বাড়িয়ে দেয়।
- ২. ডেটা সেন্টার (Data Center): ক্লাউড কম্পিউটিং-এর সমস্ত ডেটা এবং পরিষেবা এই ডেটা সেন্টারগুলিতে সংরক্ষিত থাকে। এগুলি হলো বিশাল আকারের সুরক্ষিত ভবন, যেখানে হাজার হাজার কম্পিউটার সার্ভার, স্টোরেজ ডিভাইস এবং নেটওয়ার্কিং সরঞ্জাম রাখা হয়। এই ডেটা সেন্টারগুলি উচ্চ-গতির ইন্টারনেট সংযোগ এবং উন্নত কুলিং ও পাওয়ার সিস্টেম দ্বারা পরিচালিত হয়।
- ৩. ইন্টারনেট সংযোগ (Internet Connectivity): ক্লায়েন্ট ডিভাইস (আপনার কম্পিউটার, মোবাইল) থেকে ক্লাউডে থাকা সার্ভারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হলো ইন্টারনেট। আপনি যখন কোনো ক্লাউড পরিষেবা (যেমন Google Docs বা Dropbox) ব্যবহার করেন, তখন আপনার অনুরোধ ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাউড সরবরাহকারীর ডেটা সেন্টারে পৌঁছায়। সেখানে থাকা সার্ভার সেই অনুরোধটি প্রক্রিয়া করে এবং ফলাফল আবার ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার ডিভাইসে ফেরত পাঠায়।
ক্লাউড কম্পিউটিং এর প্রকারভেদ
- এই মডেলগুলি বোঝায় যে ক্লাউড পরিকাঠামো কোথায় অবস্থিত এবং কীভাবে পরিচালিত হয়। প্রধানত চার ধরণের ডেপ্লয়মেন্ট মডেল প্রচলিত:
- ১. পাবলিক ক্লাউড (Public Cloud)
- ২. প্রাইভেট ক্লাউড (Private Cloud)
- ৩. হাইব্রিড ক্লাউড (Hybrid Cloud)
- ৪.কমিউনিটি ক্লাউড (Community Cloud)
পাবলিক ক্লাউড (Public Cloud)
- পাবলিক ক্লাউড হলো এক ধরনের ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবস্থা, যা ক্লাউড পরিষেবা প্রদানকারীরা (যেমন: AWS, Google Cloud, Microsoft Azure) ইন্টারনেটের মাধ্যমে জনসাধারণের বা একাধিক প্রতিষ্ঠানের কাছে সরবরাহ করে। এই মডেলের অধীনে, পরিষেবা প্রদানকারী তাদের মালিকানাধীন ডেটা সেন্টার থেকে কম্পিউটিং সংস্থান যেমন - সার্ভার, স্টোরেজ, ডেটাবেস এবং অ্যাপ্লিকেশন সরবরাহ করে থাকে।
পাবলিক ক্লাউডের প্রধান বৈশিষ্ট্য
- শেয়ারড রিসোর্স (Shared Resources): পাবলিক ক্লাউডের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর সংস্থানগুলি একাধিক ব্যবহারকারীর মধ্যে ভাগ করে ব্যবহার করা হয়। এটি একটি "মাল্টিটেন্যান্সি" পরিবেশ তৈরি করে, যেখানে প্রতিটি ব্যবহারকারীর ডেটা ও অ্যাপ্লিকেশন অন্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন ও সুরক্ষিত থাকে।
- খরচ-সাশ্রয়ী: যেহেতু একাধিক ব্যবহারকারী একটি সাধারণ পরিকাঠামো ব্যবহার করে, তাই পরিকাঠামো স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ কমে যায়। ব্যবহারকারী শুধুমাত্র যতটুকু পরিষেবা ব্যবহার করে, ততটুকুর জন্যই অর্থ প্রদান করে (Pay-as-you-go)।
- উচ্চ স্থিতিস্থাপকতা (High Scalability): পাবলিক ক্লাউড চাহিদা অনুযায়ী খুব দ্রুত সংস্থান বাড়াতে বা কমাতে পারে। যদি কোনো অ্যাপ্লিকেশন হঠাৎ প্রচুর ট্র্যাফিক পায়, তবে ক্লাউড প্রদানকারী স্বয়ংক্রিয়ভাবে অতিরিক্ত সংস্থান সরবরাহ করতে পারে।
- রক্ষণাবেক্ষণহীনতা: হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ক্লাউড প্রদানকারীর ওপর থাকে, তাই ব্যবহারকারীকে এসব নিয়ে চিন্তা করতে হয় না।
- সহজলভ্যতা: ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই যে কোনো স্থান থেকে, যে কোনো সময় এই পরিষেবাগুলো অ্যাক্সেস করা যায়।
পাবলিক ক্লাউডের উদাহরণ
- পাবলিক ক্লাউডের সবচেয়ে জনপ্রিয় উদাহরণগুলো হলো:
- Amazon Web Services (AWS): ক্লাউড কম্পিউটিং মার্কেটে সবচেয়ে বড় পরিষেবা প্রদানকারী।
- Google Cloud Platform (GCP): গুগলের ক্লাউড পরিষেবা, যা ডেটা অ্যানালাইসিস এবং মেশিন লার্নিং-এর জন্য জনপ্রিয়।
- Microsoft Azure: মাইক্রোসফটের ক্লাউড পরিষেবা, যা এন্টারপ্রাইজ অ্যাপ্লিকেশন এবং মাইক্রোসফট পণ্যের সাথে সহজে ইন্টিগ্রেট করা যায়।
প্রাইভেট ক্লাউড (Private Cloud)
- প্রাইভেট ক্লাউড হলো এক ধরনের ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবস্থা, যা শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য ডেডিকেটেড বা নিবেদিত থাকে। এই মডেলের পরিকাঠামো একটি একক গ্রাহক দ্বারা পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়, যা ওই প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ডেটা সেন্টারে অথবা কোনো থার্ড-পার্টি ক্লাউড পরিষেবা প্রদানকারীর দ্বারা পরিচালিত হতে পারে।
প্রাইভেট ক্লাউড-এর প্রধান বৈশিষ্ট্য
- একচেটিয়া ব্যবহার: প্রাইভেট ক্লাউড শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই ব্যবহার করতে পারে। এর সংস্থানগুলো অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান বা সাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে না।
- উচ্চতর নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা: যেহেতু ক্লাউডটি ব্যক্তিগত, তাই এর উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে। এর ফলে, সংবেদনশীল বা গোপনীয় ডেটা সুরক্ষিত রাখার জন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও নীতিমালা প্রয়োগ করা সম্ভব হয়।
- নিয়ন্ত্রণ ও কাস্টমাইজেশন: প্রতিষ্ঠান তাদের নির্দিষ্ট চাহিদা অনুযায়ী হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার এবং পরিকাঠামো সম্পূর্ণরূপে নিয়ন্ত্রণ ও কাস্টমাইজ করতে পারে।
- খরচ ও রক্ষণাবেক্ষণ: নিজস্ব পরিকাঠামো স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের কারণে প্রাথমিক খরচ অনেক বেশি হতে পারে। তবে, দীর্ঘমেয়াদে এটি তুলনামূলকভাবে সাশ্রয়ী হতে পারে।
প্রাইভেট ক্লাউডের উদাহরণ
- অন-প্রিমিসেস প্রাইভেট ক্লাউড: কোনো একটি ব্যাংক তাদের নিজস্ব সুরক্ষিত ডেটা সেন্টারে একটি ক্লাউড তৈরি করে, যা শুধুমাত্র তাদের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রমের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- হোস্টেড প্রাইভেট ক্লাউড: একটি বড় প্রতিষ্ঠান কোনো ক্লাউড প্রদানকারী (যেমন AWS বা Azure) থেকে ডেডিকেটেড সার্ভার ও পরিকাঠামো ভাড়া নেয়, যা শুধুমাত্র সেই প্রতিষ্ঠানের জন্য সংরক্ষিত থাকে।
- সংক্ষেপে, প্রাইভেট ক্লাউড সেই সব প্রতিষ্ঠানের জন্য আদর্শ, যাদের ডেটা ও অ্যাপ্লিকেশনের উপর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা, নিয়ন্ত্রণ এবং গোপনীয়তার প্রয়োজন হয়।
হাইব্রিড ক্লাউড (Hybrid Cloud)
- হাইব্রিড ক্লাউড হলো একটি ক্লাউড কম্পিউটিং মডেল, যেখানে একটি প্রতিষ্ঠান একইসাথে পাবলিক ক্লাউড এবং প্রাইভেট ক্লাউড উভয়ই ব্যবহার করে। এই দুটি ক্লাউড পরিকাঠামোকে একটি সমন্বিত পরিবেশে যুক্ত করা হয়, যা তাদের মধ্যে ডেটা ও অ্যাপ্লিকেশন আদান-প্রদানের সুবিধা দেয়।
হাইব্রিড ক্লাউড (Hybrid Cloud) এর প্রধান বৈশিষ্ট্য
- সমন্বয় (Integration): হাইব্রিড ক্লাউডের মূল বৈশিষ্ট্য হলো পাবলিক এবং প্রাইভেট ক্লাউডের মধ্যে একটি শক্তিশালী সংযোগ বা ইন্টিগ্রেশন। এর ফলে, একটি প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ডেটা সেন্টার (প্রাইভেট ক্লাউড) এবং ক্লাউড সরবরাহকারীর পরিকাঠামো (পাবলিক ক্লাউড) একসাথে কাজ করতে পারে।
- নমনীয়তা (Flexibility): এই মডেলটি প্রতিষ্ঠানকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী সংস্থান ব্যবহার করার স্বাধীনতা দেয়। উদাহরণস্বরূপ, একটি প্রতিষ্ঠান তাদের সংবেদনশীল ডেটা প্রাইভেট ক্লাউডে রাখতে পারে এবং কম সংবেদনশীল বা সাধারণ কাজগুলো পাবলিক ক্লাউডে করতে পারে।
- খরচ সাশ্রয়: হাইব্রিড ক্লাউড মডেলটি খরচ ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে নমনীয়তা প্রদান করে। প্রয়োজন অনুযায়ী পাবলিক ক্লাউডের পে-অ্যাস-ইউ-গো (Pay-as-you-go) মডেল ব্যবহার করে খরচ কমানো সম্ভব, বিশেষ করে যখন সাময়িক চাহিদার (যেমন-সীমিত সময়ের ক্যাম্পেইন) জন্য অতিরিক্ত সংস্থান প্রয়োজন হয়।
- উন্নত নিরাপত্তা: সংবেদনশীল ডেটা প্রাইভেট ক্লাউডে সুরক্ষিত রেখেও পাবলিক ক্লাউডের স্থিতিস্থাপকতা ও সহজলভ্যতা থেকে সুবিধা নেওয়া যায়।
হাইব্রিড ক্লাউড (Hybrid Cloud) কীভাবে কাজ করে?
- হাইব্রিড ক্লাউডের কার্যকারিতা সাধারণত দুটি ভিন্ন পদ্ধতিতে কাজ করে:
- 1. ক্লাউড বার্স্টিং (Cloud Bursting): এটি এমন একটি কৌশল যেখানে একটি অ্যাপ্লিকেশন সাধারণত প্রাইভেট ক্লাউডে চলে। যখন ট্র্যাফিকের পরিমাণ খুব বেশি বেড়ে যায় এবং প্রাইভেট ক্লাউডের সংস্থান অপর্যাপ্ত হয়, তখন অতিরিক্ত লোড স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাবলিক ক্লাউডে স্থানান্তরিত হয়। এটি স্কেলেবিলিটির একটি দারুণ উদাহরণ।
- 2. কোর অ্যাপ্লিকেশন (Core Application): এই পদ্ধতিতে একটি অ্যাপ্লিকেশন-এর মূল অংশ প্রাইভেট ক্লাউডে থাকে, কিন্তু এর কিছু পরিষেবা বা উপাদান পাবলিক ক্লাউড থেকে নেওয়া হয়। যেমন, একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান ডেটাবেস প্রাইভেট ক্লাউডে থাকতে পারে, কিন্তু ডেটা বিশ্লেষণের জন্য পাবলিক ক্লাউডের শক্তিশালী কম্পিউটিং সংস্থান ব্যবহার করা যেতে পারে।
কমিউনিটি ক্লাউড (Community Cloud)
- কমিউনিটি ক্লাউড হলো এক ধরনের ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবস্থা, যা একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায় বা গোষ্ঠীর একাধিক প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি করা হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর সাধারণত একই ধরনের কাজ, নিরাপত্তা চাহিদা এবং নীতিমালা থাকে। এটি পাবলিক ও প্রাইভেট ক্লাউডের মাঝামাঝি একটি মডেল।
কমিউনিটি ক্লাউড (Community Cloud) এর মূল বৈশিষ্ট্য
- নির্দিষ্ট ব্যবহারকারী: এই ক্লাউডটি সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকে না, বরং নির্দিষ্ট কিছু ব্যবহারকারী বা প্রতিষ্ঠানের একটি কমিউনিটি এর সদস্য হতে পারে। যেমন, একটি নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগ, বা কয়েকটি সরকারি সংস্থার ডেটা সেন্টারের সমষ্টি।
- খরচ ভাগাভাগি: যেহেতু একাধিক প্রতিষ্ঠান মিলে এটি ব্যবহার করে, তাই পরিকাঠামো স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ তাদের মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। এর ফলে এটি একক প্রাইভেট ক্লাউডের চেয়ে কম ব্যয়বহুল হয়।
- উন্নত নিরাপত্তা: এই মডেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা ওই নির্দিষ্ট কমিউনিটির প্রয়োজন অনুযায়ী তৈরি করা হয়, যা সাধারণত পাবলিক ক্লাউডের চেয়ে উন্নত এবং প্রাইভেট ক্লাউডের প্রায় সমতুল্য হয়।
- সহযোগিতা বৃদ্ধি: একই ধরনের কাজ বা লক্ষ্যের কারণে এই ক্লাউড ব্যবহারকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ডেটা বা অ্যাপ্লিকেশন বিনিময়ের মাধ্যমে সহযোগিতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
কমিউনিটি ক্লাউড (Community Cloud) এর উদাহরণ
- সরকারি সংস্থা: কয়েকটি সরকারি বিভাগ মিলে একটি কমিউনিটি ক্লাউড তৈরি করতে পারে, যেখানে তারা সংবেদনশীল তথ্য ভাগাভাগি করতে পারে।
- চিকিৎসা ক্ষেত্র: বিভিন্ন হাসপাতাল ও গবেষণা কেন্দ্র মিলে রোগীর ডেটা এবং গবেষণার তথ্য সুরক্ষিতভাবে ভাগ করে নেওয়ার জন্য একটি কমিউনিটি ক্লাউড ব্যবহার করতে পারে।
- শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ বা কলেজ একটি কমিউনিটি ক্লাউড ব্যবহার করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য পরিষেবা সরবরাহ করতে পারে।
ক্লাউড কম্পিউটিং সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ MCQ

Time's up