কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
- Computer Technology
- History of Computer
- Computer Generation
- Types of Computer
- Input Devices
- Output Devices
- Computer memory
- CPU & Microprocessor
- Computer Bus
- Software
- Operating System
- Database
- Number system
- Logic Gates
- Boolean Algebra
- Data & Information
- Protocols
- Medium
- Network Topology
- Wifi WiMax, Bluetooth
- URL
- Cloud Computing
সফটওয়্যার
- কম্পিউটারে কোনো সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে ধারাবাহিক ভাবে সাজানো নির্দেশাবলিকে প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার বলে। কম্পিউটারের প্রোগ্রাম বা কর্ম পরিকল্পনার কৌশলই সফটওয়্যার। কম্পিউটারের অদৃশ্য শক্তি হলো সফটওয়্যার।
- প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করে তাকে সফটওয়্যার বলে। প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করে তাকে সফটওয়্যার বলে।
- সফটওয়্যার বলতে বুঝায় কোন নির্দিষ্ট কম্পিউটারের সকল ধরনের প্রোগ্রাম। এটি বর্তমানে কম্পিউটার সিস্টেমের সবচেয়ে ব্যয়বহুল অংশ।
- সফটওয়্যার দুই ধরনের— ১। System Software (সিস্টেম প্রোগ্রাম)। ২। Application Software (ব্যবহারিক প্রোগ্রাম)।
সিস্টেম সফটওয়্যার
- সিস্টেম সফট্ওয়্যার এক ধরনের প্রোগ্রাম যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সফট্ওয়্যার চালায়। সিস্টেম সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের সমন্বয়ে কম্পিউটার প্লাটফর্ম তৈরি হয়। সিস্টেম সফটওয়্যারের সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো অপারেটিং সিস্টেম।
- কম্পিউটারের কাজের প্রকৃতির উপযোগী করে সিস্টেম সফটওয়্যার তৈরি করা হয়। তাই বিভিন্ন প্রকারের কাজের জন্য সিস্টেম সফটওয়্যার বিভিন্ন রকমের হয়। এক ধরনের কম্পিউটারের উপযোগী করে তৈরি সফটওয়্যার পরিবর্তন করে না নিলে অন্য এক ধরনের কম্পিউটারে ব্যবহার করা যায় না।
- সিস্টেম সফটওয়্যার তিন প্রকার। যথা
- i. অপারেটিং সিস্টেম : অপারেটিং সিস্টেম কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামের মাঝেঅবস্থান করে।হার্ডওয়্যারকে দিয়ে অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামের কাজগুলো করিয়ে নেয়ার ব্যাপারে অপারেটিং সিস্টেম সমন¦য়কারীর ভূমিকা পালন করে।বর্তমানে পিসির জনপ্রিয় অপারেটিং সিস্টেম হলো উইন্ডোজ এক্সপি।
- ii. ডিভাইস ড্রাইভার বা সফটওয়্যার ড্রাইভার : ডিভাইস ড্রাইভার এক ধরনের হাই লেভেল কম্পিউটার প্রোগ্রাম যা কোন হার্ডওয়্যার ডিভাইসের সাথে উভমুখী যোগাযোগের মাধ্যমে তাকে পরিচালনা করে এবং সামর্থ্যকে ব্যবহার করে।
- iii. ইউটিলিটি প্রোগ্রাম : যেসব প্রোগ্রাম সিস্টেমের বিভিন্ন কাজকে সহজ করে দেয় তারাই ইউটিলিটি প্রোগ্রাম। কম্পিউটার রক্ষণাবেক্ষণ, সুরক্ষা, ডেটা ও প্রোগ্রামের ব্যাকআপ, রিকভারি প্রভৃতি কাজের জন্য তৈরি সফটওয়্যার হলো ইউটিলিটি প্রোগ্রাম। যেমন : অ্যান্টিভাইরাস, ডিস্ক ফ্রাগমেন্ট, ডিস্ক ফরম্যাটর, ফাইল ব্যাকআপ, ফাইল হ্যান্ডেলার, সর্ট-মার্জ প্রোগ্রাম, লাইব্রেরি প্রোগ্রাম, লিংকার প্রোগ্রাম ইত্যাদি।
অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার
- ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহৃত প্রোগ্রামকে অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার বা ব্যবহারিক সফটওয়্যার বলা হয়। ব্যবহারিক প্রোগ্রামকে সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়। অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার দুই ভাগে বিভক্ত। যথা
- i. কাস্টমাইজড সফটওয়্যার : ব্যবহারকারীর প্রয়োজন বা সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে যে প্রোগ্রাম তৈরি হয় সেটি কাস্টমাইজড প্রোগ্রাম। সাধারণভাবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টমাইজড সফটওয়্যার তৈরি করে।কোনো শপিং মল তার নিজের হিসাব নিকাশ, পণ্য সংগ্রহ ও স্টক মেনটেইন ইত্যাদি কাজের জন্য একাউন্টিং সফটওয়্যার তৈরি করে। সুনির্দিষ্ট ব্যবহারকারী কেবল নির্দিষ্ট কিছু কার্য সম্পাদনের জন্য এটি ব্যবহার করতে পারে। উদাহরণ: একাউন্টিং সফটওয়্যার, সেলস ম্যানেজমেন্ট, ইলেকট্রনিক কমার্স ব্যাংকিং সফটওয়্যার, কন্ট্রোল সফটওয়্যার, পেরোল সিস্টেম, টিকেট রিজার্ভেশন সিস্টেম সফটওয়্যার ইত্যাদি।
- ii. প্যাকেজ সফটওয়্যার : বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্যযে সব প্রোগ্রাম বাজারে কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো প্যাকেজ সফটওয়্যার।গ্রাহক চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখেবড় বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো প্যাকেজ সফটওয়্যার তৈরি করে। উদাহরণ : ওয়েব ব্রাউজ, ই-মেইল, ওয়ার্ড প্রসেসিং, স্প্রেডশীট প্রোগ্রাম, ডেটাবেজ ম্যানেজমেন্ট, গ্রাফিক্স এবং ডেস্কটপ পাবলিশিং ইত্যাদি প্যাকেজ সফটওয়্যার। বহুল ব্যবহৃত অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার : Microsoft Word, Microsoft Excel, Microsoft Access, Microsoft Powerpoint, GEFORCE Graphics, Mozilla Firefox, Gmail, Share it, Snipping tool etc.
ফার্মওয়্যার (Firmware)
- কম্পিউটার তৈরি করার সময় উহার মেমোরিতে যে সকল প্রোগ্রামসমূহ স্থায়ীভাবে সংরক্ষণ করে দেয়া হয তাকে ফার্মওয়্যার বলে। এ সকল প্রোগ্রাম কম্পিউটার ব্যবহারকারী পরিবর্তন করতে পারে না। সব প্রোগ্রামের আউটপুট কেবল পর্যায়ক্রমে মনিটরে প্রদর্শিত হয়। কম্পিউটার প্রস্তুতকারক কোম্পানী কম্পিউটার তৈরির সময় কম্পিউটারের সেমিকন্ডাকটর রমে স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত রাখার ব্যবস্থা করেন। তাই ডেটাগুলো এবং কার্য নির্দেশের তালিকাগুলো কম্পিউটার সুইচ অন করা মাত্রই কার্যকর হয়। ROM BIOS এর মধ্যে যে ডেটা এবং নিদের্শগুলো থাকে তা ফার্মওয়্যার। ব্যবহারকারী তার ইচ্ছেমত ফার্মওয়্যার প্রোগ্রাম বা নির্দেশ মুছতে পারে না।
BIOS (Basic Input/Output System)
- BIOS-এর পূর্ণরূপ হলো Basic Input/Output System। এটি একটি বিশেষ ধরনের প্রোগ্রাম, যা আপনার কম্পিউটারের মাদারবোর্ডের একটি ছোট চিপে (সাধারণত ROM) স্থায়ীভাবে সংরক্ষিত থাকে। যখন আপনি কম্পিউটার চালু করেন, তখন এটিই প্রথম প্রোগ্রাম যা সক্রিয় হয়।
- BIOS-এর প্রধান কাজগুলো হলো:
- POST (Power-On Self-Test): কম্পিউটার চালু হওয়ার সাথে সাথেই BIOS একটি স্ব-পরীক্ষা চালায়। এর মাধ্যমে এটি নিশ্চিত করে যে কম্পিউটারের মৌলিক হার্ডওয়্যারগুলো, যেমন—CPU, RAM, কীবোর্ড, মাউস, হার্ড ডিস্ক ইত্যাদি সঠিকভাবে সংযুক্ত আছে এবং কাজ করছে।
- বুট লোডার (Bootstrap Loader): POST পরীক্ষা সফল হলে, BIOS হার্ড ডিস্ক বা অন্য কোনো স্টোরেজ ডিভাইস থেকে অপারেটিং সিস্টেম (যেমন উইন্ডোজ, লিনাক্স) খুঁজে বের করে এবং এটিকে RAM-এ লোড করে। এর মাধ্যমেই আপনার কম্পিউটার ব্যবহার উপযোগী হয়।
- হার্ডওয়্যার নিয়ন্ত্রণ: BIOS, অপারেটিং সিস্টেম এবং হার্ডওয়্যারের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে। এটি হার্ডওয়্যারের সাথে যোগাযোগের জন্য কিছু প্রাথমিক নির্দেশাবলী সরবরাহ করে, যার ফলে অপারেটিং সিস্টেমের হার্ডওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত জানার প্রয়োজন হয় না।
- সিস্টেম কনফিগারেশন: BIOS সেটিংসে প্রবেশ করে আপনি কিছু গুরুত্বপূর্ণ হার্ডওয়্যার সেটিংস পরিবর্তন করতে পারেন, যেমন—বুটিং অর্ডার (কোন ড্রাইভ থেকে কম্পিউটার বুট হবে), সিস্টেমের তারিখ ও সময়, CPU এবং RAM-এর সেটিংস ইত্যাদি।
- আধুনিক কম্পিউটারে BIOS-এর পরিবর্তে UEFI (Unified Extensible Firmware Interface) নামক একটি উন্নত সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে, যা BIOS-এর চেয়ে দ্রুত এবং আরও বেশি সুবিধাযুক্ত।
- কম্পিউটারের বুট প্রক্রিয়ার ক্রম
- POST (পাওয়ার-অন স্ব-পরীক্ষা): এটি হল প্রথম ধাপ। যখন আপনি আপনার কম্পিউটার চালু করেন, তখন BIOS বা UEFI ফার্মওয়্যার সমস্ত প্রয়োজনীয় হার্ডওয়্যার উপাদান - যেমন CPU, RAM এবং ভিডিও কার্ড - সঠিকভাবে কাজ করছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য একটি স্ব-পরীক্ষা করে।
- বুটলোডার: একটি সফল POST এর পরে, BIOS/UEFI বুট ডিভাইস (সাধারণত একটি হার্ড ড্রাইভ বা SSD) খুঁজে বের করে এবং বুটলোডারকে মেমোরিতে লোড করে। বুটলোডার হল একটি ছোট প্রোগ্রাম যা অপারেটিং সিস্টেমের কার্নেল লোড করার জন্য দায়ী।
- কার্নেল: বুটলোডার তারপর অপারেটিং সিস্টেমের মূল উপাদান, কার্নেল, মেমোরিতে লোড করে এবং এটিতে নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করে। কার্নেল হল OS এর কেন্দ্রীয় অংশ যা সমস্ত সিস্টেম রিসোর্স পরিচালনা করে এবং হার্ডওয়্যার এবং সফ্টওয়্যারের মধ্যে সেতু হিসেবে কাজ করে।
হিউম্যানওয়্যার
- ডেটা সংগ্রহ, প্রোগ্রাম বা ডেটা সংরক্ষণ ও পরীক্ষাকরণ, কম্পিউটার চালনা, প্রোগ্রাম লেখা, সিস্টেমগুলো ডিজাইন ও রেকর্ড লিপিবদ্ধকরণ এবং সংরক্ষণ, সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কাজগুলোর সাথে যুক্ত সমস্ত মানুষকে একসাথে হিউম্যানয়্যার বলে। একজন কম্পিউটারের ব্যবহারকারী (হিউম্যানওয়্যার) প্রথমত: ডেটা সংগ্রহ করেন। কম্পিউটার প্রসেস করার জন্য কম্পিউটারের সিস্টেম ডিজাইন করেন এবং কম্পিউটারের প্রোগ্রাম লেখেন। এরপর কম্পিউটার ব্যবহারকারী কম্পিউটার চালনার মাধ্যমে প্রোগ্রামটিকে চালিয়ে দেখেন এবং ডেটাগুলোকে পরীক্ষা করেন। এ সব কিছুই হিউম্যানওয়্যার। তাছাড়া প্রস্তুতকৃত কম্পিউটার যন্ত্রপাতি ব্যবহারকারীর নিকট আনা ও সেট আপ করে দেয়ার জন্য যে সব কাজে মানুষ যুক্ত থাকে তাদেরকে একসাথে হিউম্যানওয়ার বলে।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলি
- ১. সফটওয়্যারে অপারেটিং সিস্টেমকে বলা হয়- সিস্টেম সফটওয়্যার
- ২. BIOS is a -Firmware
- ৩. BIOS is stored in a computer in its ROM
- ৪. BIOS stands for Basic Input Output Sysem
- 5. MS EXCEL is a spreadsheet software
- ৬. কম্পিউটারে হিসাব নিকাশ করার জন্য যে সফটওয়্যারটি সর্বাধিক উপযোগী - এম এস. এক্সেল