কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি
- Computer Technology
- History of Computer
- Computer Generation
- Types of Computer
- Input Devices
- Output Devices
- Input/Output Devices
- Computer memory
- CPU & Microprocessor
- Computer Bus
- Software
- Operating System
- Computer VIRUS
- Firewall Protection
- Database
- Programming Language
- Compiler, Interpreter & Assembler
- Number system
- Number system Conversion
- Logic Gates
- Boolean Algebra
- Data & Information
- Data transmission Method
- Data transmission Mood
- Computer Network
- Computer Network Devices
- Internet, Intranet, Extranet
- Mobile Network
- Protocols
- Medium
- Network Topology
- Wifi WiMax, Bluetooth
- URL
- Cloud Computing
- E-Commerce
- Robotics
- Cyber Security
অপারেটিং সিস্টেমস
- অপারেটিং সিস্টেমস হচ্ছে ব্যবহারকারীর নির্দেশ অনুযায়ী কম্পিউটারের অভ্যন্তরে হার্ডওয়্যার বা অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে কাজের সমন¦য় সাধন করে সমগ্র কার্যপ্রক্রিয়া পরিচালনার জন্য তৈরি প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার। এই জন্য অপারেটিং সিস্টেমকে সফটওয়্যার বলা হয়। ১৯৫১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (USA) জেনারেল মটর রিসার্চ ল্যাবরেটরি কর্তৃক (IBM) কর্পোরেশনের জন্য সর্বপ্রথম অপারেটিং সিস্টেম আবিষ্কৃত হয়। ১৯৭১ সাল হতে অপারেটিং সিস্টেম পিসিতে ব্যবহার করা শুরু হয়।
- কম্পিউটার পরিচালনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়ে থাকে। বহুল ব্যবহৃত কয়েকটি অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে 1. MS-DOS ev PC-DOS 2. WINDOWS 95/98/2000 3. Os/2 4. UNIX 5. LINUX 6. MAC OS 7. Solaries 8. XENIX 9. WINDOWS NT, WINDOWS XP 10. WINDOWS 7/8/10 ইত্যাদি
অপারেটিং সিস্টেমের প্রকারভেদ
কম্পিউটার কমান্ড বা পরিচালনা অনুযায়ী প্রকারভেদ
- ১. কমান্ড বেজড বা বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম : এ সিস্টেমে কী বোর্ড দ্বারা বিভিন্ন বর্ণ টাইপ করে এবং বিভিন্ন বোতাম ব্যবহার করে কম্পিউটারকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ প্রদান করতে হয়।বর্ণভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে : MS-DOS, PC-DOS, UNIX, LINUX
- ২. GUI (Graphical User Interface) বেজড বা চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম : এ সিস্টেমে ডিস্ক ফরমেটিং থেকে শুরু করে ফাইল ব্যবস্থাপনা এবং অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ব্যবহারের সকল পর্যায়ের কাজ করতে হয়। বিভিন্ন প্রকার আইকোন (Icon) এবং পুল ডাউন মেনু কমান্ড ব্যবহার করে। চিত্রভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছ : WINDOWS 95, WINDOWS-NT, WINDOWS XP, WINDOWS 7, Mac OS ইত্যাদি।
ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনুযায়ী প্রকারভেদ
- ১. সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম : এটি কেবল একজন ব্যবহারকারী এবং একটি প্রসেসর সমর্থন করে।একজন ব্যবহারকারী এবং একটি প্রসেসর সমর্থন করে বলে DOS - কে সিঙ্গেল ইউজার অপারেটিং সিস্টেম বলা হয়। কয়েকটি উদাহরণ হলো : CP/M, MS DOS, PC-DOS, WINDOWS, WINDOWS 95/98, WINDOWS NT ইত্যাদি।
- ২. মাল্টি ইউজার অপারেটিং সিস্টেম : এটি একাধিক ব্যবহারকারী এবং একাধিক প্রসেসর সমর্থন করে এবং নেটওয়ার্কিং বা ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে কাজ করতে পারে। টাইম শেয়ারিং, মাল্টিপ্রসেসিং, মাল্টিপ্রোগ্রামিং, মাল্টিট্যাস্কিং ইত্যাদিতে এ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। এটি বর্ণভিত্তিক ও চিত্রভিত্তিক উভয়ই হতে পারে। যেমন WINDOWS 2003/2008, WINDOWS NT, VISTA, WINDOWS 7, UNIX, LINUX ইত্যাদি।
প্রসেসরের সংখ্যা অনুযায়ী প্রকারভেদ
- ১. সিঙ্গেল প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম : এ সিস্টেম একটি মাত্র প্রসেসর বিশিষ্ট কম্পিউটারকে পরিচালনা করে। যেমন CP/M, MS-DOS, PC-DOS, WINDOS 3X ইত্যাদি।
- ২. মাল্টি প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম : এ সিস্টেম একাধিক প্রসেসর বিশিষ্ট কম্পিউটারকে পরিচালনা করে।এ ধরনের সিস্টেমকে প্যারালাল প্রসেসিং সিস্টেমও বলা হয়। যেমন UNIX, LINUX, WINDOWS 2003/2008, WINDOWS NT, WINDOWS 7 ইত্যাদি।
মালিকানা বা স্বত্ব অনুযায়ী প্রকারভেদ
- ১. ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম : এ সিস্টেমের সোর্স কোড সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকে এবং সোর্স কোড ফ্রি বা বিনা মূল্যে পাওয়া যায়। বিভিন্ন সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান তাদের তৈরি সফটওয়্যার সকলের জন্য উম্মুক্ত করে দেয়। যে কেউ ইন্টারনেট থেকে বিনামূল্যে এটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারেন। যেমনÑ Linux, UBUNTU, Sun Solaris, Caldora, Fedora ইত্যাদি। এ ছাড়াও আরো কয়েকটি ওপেন সোর্স সফটওয়্যার হচ্ছে : Haiku, AROS, PreeDOS, Darwin ইত্যাদি।গুগলের তৈরি android হলো স্মার্টফোনে ব্যবহৃত একটি ওপেন সোর্স অপারেটিং সিস্টেম।
- ২. প্রোপাইটরি অপারেটিং সিস্টেম : ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক এ সিস্টেমের মালিকানা আইনগতভাবে নির্দিষ্ট করা থাকে। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান এ সফটওয়্যার তৈরি, উন্নয়ন ও বাজারজাতকরণ করে। এ ধরনের সফটওয়্যারের সোর্স কোড গোপন থাকে। ব্যবহারকারীকে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কিনে নিতে হয়। অনুমতি ছাড়া প্রোগ্রামের কোনো ধরনের পরিবর্তন করা যায় না। উদাহরণ স্বত্বাধিকারী অপারেটিং সিস্টেম Microsoft Corporation- DOS, Windows 95/98/XP/Vista/7/10; Apple Computer- MAC OS : IBS- AIX-UNIX; Hewlett-Packard (HP) HP-UNIX; Sun Microsystem- Sun Solaris; Bell Labs (Dennis Ritchie, Ken Thompson in 1971) UNIX (1st OS)
ব্যবহারকারীর সংখ্যা, প্রসেসরের সংখ্যা, মেমরি গঠন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রকারভেদ
- ১. ব্যাচ প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম : এ সিস্টেমে একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে বিভিন্ন প্রোগ্রাম বা উপাত্তগুলো নির্দিষ্ট স্মৃতি ভা-ারে সংরক্ষণ করা হয়, তারপর নির্দিষ্ট সময় পর পর প্রোগ্রাম বা উপাত্তগুলো নির্বাহ করা হয়। একে একক প্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেমও বলা হয়। ব্যাংক, বীমা, বড় ডিপার্টমেন্টাল স্টোর ইত্যাদি কম্পিউটার নির্ভর হিসাব ব্যবস্থাপনা এ সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। মাইক্রোকম্পিউটারে ব্যবহৃত MS-DOS এ সিস্টেমের উদাহরণ।
- ২. রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম : এ সিস্টেমে ব্যবহারকারীর প্রোগ্রাম নির্বাহের নির্দেশ পাওয়া মাত্র প্রোগ্রাম নির্বাহের কাজ আরম্ভ করে। একে অনেক সময় অন লাইন রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম বলে। খাদ্য, গ্যাস, পেট্রোলিয়াম প্রক্রিয়াকরণ শিল্পে এবং বিমানের টিকেট সংগ্রহের জন্য রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়। উদাহরণ - UNIX, Windows NT.
- ৩. মাল্টিপ্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম : কম্পিউটার সিস্টেমে একাধিক সিপিইউ সংযোগের মাধ্যমে এক বা একাধিক প্রোগ্রাম প্রসেস করা হলে তাকে মাল্টিপ্রসেসিং অপারেটিং সিস্টেম বলে। এই পদ্ধতিতে একাধিক সিপিইউ একত্রে কাজ করতে পারে। মহাকাশযান, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, কলকারখানা ইত্যাদিতে মাল্টিপ্রসেসিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মেইনফ্রেম কম্পিউটারগুলোতে সাধারণত মাল্টি প্রসেসিং সিস্টেমে কাজ করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে মাইক্রোকম্পিউটারেও মাল্টিপ্রসেসিং পদ্ধতির ব্যবস্থা আছে।
- ৪. টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেম : এ সিস্টেম প্রসেসিং সময়কে বিভিন্ন প্রোগ্রাম এবং ব্যবহারকারীর মধ্যে ভাগ (Time slice) করে দেয়। এ সিস্টেমে একাধিক ব্যবহারকারী এক সঙ্গে নিজ নিজ টার্মিনালের সাহায্যে কেন্দ্রীয় কম্পিউটারে কাজ করতে পারে। এই সিস্টেমের জন্যরাউন্ড রবিন (round robin) শিডিউলিং পলিসি (Scheduling policy) সব থেকে ভাল। round-robin scheduling policey starvation যুক্ত। Round-robin হলো বহুল ব্যবহৃত এলগরিদম। এটি মূলত এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যাতে একটি সিস্টেমকে অনেক ইউজার বা প্রোগ্রাম ব্যবহার করতে পারে। এক্ষেত্রে প্রোগ্রামগুলো তাদের এক্সিকিউশনের সময়কে শেয়ার করে বলে অনেকগুলো প্রোগ্রাম সমান্তরালভাবে চলতে পারে। এরূপ প্রতিটি প্রোগ্রামকে কতগুলো " time-slice "-এ বিভক্ত করা হয়। উদাহরণ : UNIX, LINUX, Windows NT.
- ৫. মাল্টিপ্রোগ্রামিং বা মাল্টিটাস্কিং অপারেটিং সিস্টেম : এ সিস্টেম একসাথে একাধিক প্রোগ্রাম চালাতে পারে বা ডেটা প্রসেসিং করতে পারে। এ সিস্টেমে একই সাথে একাধিক প্রোগ্রাম মেমরিতে অবস্থান করে সমান্তরালভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে। মাল্টিপ্রোগ্রামিংয়ের ক্ষেত্রে প্রধান মেমরিতে (RAM) একাধিক প্রোগ্রাম সঞ্চিত থাকে। উদাহরণ : Mac OS, UNIX, LINUX, Windows 2003/ 2008/ NT
- ৬. ভারচুয়্যাল স্টোরেজ বা ভারচুয়্যাল মেশিন অপারেটিং সিস্টেম : প্রধান মেমরির স্বল্পতা বা সীমাবদ্ধতা দূরীকরণ এবং সহায়তার জন্য ভারচুয়্যাল স্টোরেজ বা ভারচুয়্যাল মেশিন অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। ভারচুয়্যাল অপারেটিং সিস্টেমে সহায়ক মেমরির (হার্ডডিস্ক বা ফ্লপি ডিস্ক) কিছু অংশকে প্রধান মেমরির (প্রাইমারি স্টোরেজের) বর্ধিত অংশ হিসেবে ধরা হয়। এজন্য ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেম হলো— IBM, VAX/VMS ইত্যাদি।
- ৭. ডিস্ট্রিবিউটেড অপারেটিং সিস্টেম : এ সিস্টেমে একটি সার্ভার বা কেন্দ্রীয় কম্পিউটারের সাহায্যে একাধিক কম্পিউটারের সিস্টেম নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কম্পিউটারের কার্যাবলি সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য ব্যবহৃত হয়। সার্ভারের সাথে যুক্ত থাকা একাধিক কম্পিউটারকে ক্লায়েন্ট কম্পিউটার বলে। এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম মূলত টাইম শেয়ারিং অপারেটিং সিস্টেমেরই একটি সম্প্রসারিত নেটওয়ার্ক। কম্পিউটার নেটওয়ার্কিং এর ক্ষেত্রে এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
- ৮. অন-লাইন/ইন্টারঅ্যাকটিভ অপারেটিং সিস্টেম : এ সিস্টেমের সাহায্যে ব্যবহারকারী কম্পিউটারের সাথে সরাসরি সংযুক্ত হয়ে যে কোনো সময় প্রক্রিয়াকরণের কাজ করতে পারে।এ পদ্ধতিতে নির্বাহের অনুরোধ পাওয়া মাত্র প্রোগ্রাম নির্বাহের কাজ আরম্ভ করে। তাই একে রিয়েল টাইম অপারেটিং সিস্টেম বলে। রেল বা বিমানের টিকেট বুকিং, ATM ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ ধরনের অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহৃত হয়।